গর্ভবতী নারীর প্রসবের লক্ষণ(rituit)

 গর্ভাবস্থার শেষ দিকে মায়ের শরীরে স্বাস্থ্যের নানা পরিবর্তন দেখা দেয়, যা প্রসবের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। সাধারণত ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে প্রসব হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় এই সময়ের আগেও বা কিছুটা পরেও প্রসব হতে পারে। তাই প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রসবের লক্ষণগুলো জানা খুব জরুরি, যাতে সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নেওয়া যায় এবং কোনো বিপদের আশঙ্কা না থাকে। নিচে প্রসবের কিছু সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো— 

গর্ভবতী নারীর প্রসবের লক্ষণ
গর্ভবতী নারীর প্রসবের লক্ষণ

 ১. পেটের নিচে চাপ বা টান লাগা

প্রসবের আগে শিশুর অবস্থান নিচের দিকে নেমে আসে, ফলে পেটের নিচে ভার বা চাপ অনুভূত হয়। অনেক সময় নিচের দিকে ব্যথা বা টান লাগার অনুভূতিও হয়। এটি প্রসব আসন্ন হওয়ার একটি প্রাথমিক লক্ষণ।

 ২. যোনিপথে পানি বা তরল বের হওয়া

যদি হঠাৎ করে যোনিপথ দিয়ে স্বচ্ছ পানি বের হতে থাকে, তবে বুঝতে হবে যে এমনিওটিক থলি ফেটে গেছে। একে বলে ‘ওয়াটার ব্রেক’। এটি প্রসবের খুবই কাছাকাছি একটি নিশ্চিত লক্ষণ, তাই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

 ৩. নিয়মিত ও ব্যথাযুক্ত সংকোচন (লেবার পেইন)

প্রসবের প্রধান লক্ষণ হলো পেটের নিচে নিয়মিত ব্যবধানে ব্যথা অনুভব করা। প্রথমে এই ব্যথা হালকা হয় এবং কিছু সময় পর পর আসে, পরে তা ধীরে ধীরে তীব্র ও ঘন ঘন হতে থাকে। এই সংকোচন কয়েক মিনিট পর পর এলে বুঝতে হবে প্রসব শুরু হয়েছে।

 ৪. পিঠে ও কোমরে তীব্র ব্যথা

প্রসবের আগে অনেক নারীর কোমর ও পিঠে ব্যথা শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ব্যথা যদি নিয়মিতভাবে ফিরে আসে এবং বিশ্রামেও না কমে, তাহলে এটি প্রসবের লক্ষণ হতে পারে।

৫. যোনিপথে রক্তমিশ্রিত শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া

প্রসবের কয়েক ঘণ্টা বা একদিন আগে হালকা রক্তমিশ্রিত মিউকাস বা শ্লেষ্মা বের হতে পারে, যাকে “ব্লাডি শো” বলা হয়। এটি সার্ভিক্স বা জরায়ুর মুখ প্রসবের প্রস্তুতিতে নরম হয়ে আসছে, সেই ইঙ্গিত দেয়।

৬. ওজন হালকা লাগা ও বমি ভাব কমে যাওয়া

প্রসবের আগে অনেক সময় হঠাৎ করে মায়ের শরীর হালকা মনে হয়, কারণ শিশুটি নিচের দিকে নেমে আসে। বমি ভাব, গ্যাস ও অস্বস্তিও কিছুটা কমে যেতে পারে।

৭. অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শক্তি ফিরে পাওয়া

কিছু মায়েরা প্রসবের আগ মুহূর্তে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করেন, আবার কেউ কেউ হঠাৎ করে শক্তি ফিরে পান ও ঘরগোছানো শুরু করেন। এই মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনও প্রসবের কাছাকাছি সময়ের লক্ষণ হতে পারে।

 কখন হাসপাতালে যাবেন

  • নিয়মিত ও তীব্র ব্যথা শুরু হলে

  • যোনিপথে পানি বা রক্তপাত দেখা দিলে

  • শিশুর নড়াচড়া কমে গেলে

  • উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা বা ঝাপসা দেখলে

এমন কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 উপসংহার

প্রসব একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে এর আগে শরীর কিছু সতর্ক সংকেত দেয়। এসব লক্ষণ জানা থাকলে গর্ভবতী মা সহজে বুঝতে পারেন কখন তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে মা ও শিশুর উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তাই প্রসবের লক্ষণ দেখলেই শান্ত থাকুন, পরিবারের সহায়তা নিন এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Sourov Store

"Ritu IT | Ritu Vlogs: Where tech meets vlogs in perfect harmony! Join Ritu on a dynamic exploration of information technology and captivating daily adventures. Subscribe now for a seamless fusion of IT insights and entertaining vlogs!"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন